Powered By Blogger

Friday, 14 December 2018

টেরিডোফাইটা বা ফার্নবর্গীয় উদ্ভিদ | টেরিস এর যৌন জনন



প্রোথ্যালাসে যৌন জনন সম্পন্ন হয়। এর নিম্নতলে খাঁজের কাছাকাছি স্থানে আর্কিগোনিয়াম (স্ত্রীজননাঙ্গ) উৎপন্ন হয়। যে অংশ হতে রাইজয়েড উৎপন্ন হয় সে অংশে অ্যান্থেরিডিয়াম (পুংজননাঙ্গ) উৎপন্ন হয়, কাজেই প্রোথ্যালাস সহবাসী।
আর্কিগোনিয়াম:
স্ত্রীজননাঙ্গকে আর্কিগোনিয়াম বলে। আর্কিগোনিয়াম ফ্লাক্স আকৃতির। এটি একটি গ্রীবা এবং একটি উদর সহযোগে গঠিত। উদরের নিম্নাংশে একটি ডিম্বাণু আছে এবং ডিম্বাণুর উপর একটি উদরীয় নালিকা কোষ আছে। গ্রীবায় একাধিক গ্রীবা নালিকা কোষ আছে। আর্কিগোনিয়াম পরিণত হলে গ্রীবা নালিকা কোষ এবং উদরীয় নালিকা কোষ বিগলিত হয়ে যায় এবং উদরে শুধু ডিম্বাণু থাকে।
অ্যান্থেরিডিয়াম:
পুংজননাঙ্গকে অ্যান্থেরিডিয়াম বলে। অ্যান্থেরিডিয়াম গোলাকৃতির। এর ভিতরে ৩২ টি শুক্রাণু মাতৃকোষ থাকে। মাতৃকোষগুলো একটি বন্ধ্যা প্রাচীর দিয়ে পরিবেষ্টিত থাকে। প্রতিটি শুক্রাণু মাতৃকোষ রূপান্তরিত হয়ে একটি বহু ফ্ল্যাজেলাযুক্ত শুক্রাণুতে পরিণত হয়। অ্যান্থেরিডিয়ামের শীর্ষের আচ্ছাদনকারী কোষ বিদীর্ণ হয় এবং শুক্রাণুগুলো বের হয়ে ফ্ল্যাজেলার সাহায্যে পানিতে সাঁতার কেটে স্থানান্তরিত হতে পারে।
নিষেক:
শিশির বিন্দু বা বৃষ্টির পানির সাহায্যে শুক্রাণুসমূহ আর্কিগোনিয়ামে পরিবাহিত হয়। আর্কিগোনিয়াম কর্তৃক ম্যালিক অ্যাসিড নিঃসৃত হয়। ফলে শুক্রাণু ডিম্বাণুর প্রতি আকৃষ্ট হয়। শুক্রাণু আর্কিগোনিয়ামের গ্রীবা নালী দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে এবং একটি ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয়ে নিষেকক্রিয়া সম্পন্ন করে। নিষেকক্রিয়ার ফলে ডিপ্লয়েড ঊস্পোর উৎপন্ন হয়। এভাবে নিষেকের ফলে ঊস্পোরে পূর্ণ ক্রোমোজোম সংখ্যা ফিরে আসে এবং সাথে সাথে ডিপ্লয়েড এবং স্পোরোফাইটিক জনু শুরু হয়।

নতুন স্পোরোফাইটিক উদ্ভিদ:
জাইগোট বা ঊস্পোর স্পোরোফাইটের প্রথম কোষ। ঊস্পোর পুনঃ পুনঃ মাইটোটিক কোষ বিভাজনের মাধ্যমে ভ্রূণ সৃষ্টি করে। ভ্রূণ ক্রমশ বিকশিত হয়ে মূল, কান্ড ও পাতাবিশিষ্ট নতুন স্পোরোফাইট গঠন করে। মূল মাটিতে প্রবেশের পর প্রোথ্যালাস শুকিয়ে যায় এবং স্পোরোফাইটিক উদ্ভিদটি পূর্ণ টেরিস উদ্ভিদে পরিণত হয়।

No comments:

Post a Comment

ভুটান ভ্রমণ

ভুটান  বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ। যাকে ভুস্বর্গ বলা হয়।  বাংলাদেশী নাগরিকের জন্য অন এরাইভাল ভিসা সিস্টেম চালু আছে।   ভুটান ভ্রমণের সবচেয়ে ...