ভুটান
বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ। যাকে ভুস্বর্গ বলা হয়। বাংলাদেশী নাগরিকের জন্য অন এরাইভাল ভিসা সিস্টেম চালু আছে।
ভুটান ভ্রমণের সবচেয়ে উপযোগী সময় হল সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর। এই সময় আবহাওয়া ভালো থাকে।
ভুটানে যাওয়ার উপায়ঃ ভুটানে যাওয়ার দুইধরনের ব্যবস্থা রয়েছে
১. বিমানে করে যেতেঃ যেহেতু ভুটান ভ্রমণ অন এরাইভাল ভিসা সিস্টেম চালু আছে। বিমানে করে যেতে শুধুমাত্র এন্ট্রি পার্মিট লাগে। ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ড্রুক এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে সরাসরি ভুটানের রাজধানী থিম্পু তে পৌঁছানো যায়।
২. বাই রোডে যেতেঃ প্রথমে ভারতের ট্রানজিট ভিসা বা সাধারণ ভ্রমন ভিসা করে নিতে হবে।
কারণ, বাই রোডে যেতে হলে আপনাকে ভারতের উপর দিয়েই যেতে হবে।
আগের দিনঃ
গাবতলী, কল্যাণপুর, মহাখালী ইত্যাদি থেকে অনেক বাস বুড়িমারীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। রাতে টিকিট কেটে ভোরবেলায় যেন বুড়িমারীতে পৌঁছানো যায় এরকম বাসে উঠতে হবে।
১ম দিন
বর্ডার এর আশেপাশে অনেক হোটেল পাওয়া যায় সেগুলো থেকে সকালের নাস্তা সেরে নিয়ে ইমিগ্রেশনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করতে হবে।
ইমিগ্রেশন সম্পূর্ণ হয়ে গেলে বাংলাদেশের বর্ডারের ওপাশে চ্যাংড়াবান্ধা বর্ডার আছে। সেখানে অনেক জিপ ভাড়া পাওয়া যায়। চ্যাংড়াবান্ধা বর্ডার থেকে ভুটানের জয়গাঁও এর দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার। জয়গাঁও পৌঁছাতে বিকাল লাগতে পারে। তারপর সেখানে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে একটা ট্যাক্সি নিয়ে থিম্পুর উদ্দেশ্যে রওনা করতে হবে। সেখানে অনেক হোটেল আছে থাকার জন্য। থিম্পু পৌঁছাতে রাত্রি হয়ে যাবে তাই রাতের খাবার খেয়ে রাতের শহরের দেখতে বের হতে পারেন। আর ক্লান্ত লাগলে ঐদিন বিশ্রাম করতে পারেন।
![]() |
THIMPU |
২য় দিনঃ
খুব সকালে উঠে থিম্পু শহর হেটে হেটে ঘুড়িয়ে বেরিয়ে দেখবেন।
এর মধ্যে রয়েছে সিটি ভিউ পয়েন্ট, ক্লক টাওয়ার, থিম্পু নদী, থিম জং, পার্লামেন্ট হাউস।
একটু বেলা হলে সকালের নাশতা সেরে নিয়ে একটা ট্যাক্সি ভাড়া করে শহরের বাইরে ন্যাশনাল জু, বুদ্ধ স্ট্যাচু, ন্যাশনাল চার্টেন দেখো আসতে পারেন। তারপর পাশেই তাসিং ডিজং এ গিয়ে পুনাখা শহরে প্রবেশের পারমিট নিয়ে হোটেলে ফিরে আসুন।
৩য় দিনঃ
পুনাখা ভালো করে দেখতে হলে ২ দিন মতো সময় লাগবে তাই আগেরদিন জামা কাপড় সবকিছু গুছিয়ে রাখুন এবং ড্রাইভারকে খুব সকাল সকাল আসতে বলবেন। প্রথমেই চলে যাবেন দোচালা পাস, তারপর পুনাখা জং, ফোক হেরিটেজ মিউজিয়াম, আর্ট স্কুল, ন্যাশনাল লাইব্রেরি, লাখাং মন্দির এগুলো দেখতে দেখতে সারাদিন কেটে যাবে। তারপর রাতে সেখানে কোনো হোটেলে থাকবেন।
৪র্থ দিন
এরপর ফেরার পালা।
পুনাখাতে অনেক ট্যাক্সি পাওয়া যায়। সেখানে দামদর করে একটা ট্যাক্সি নিয়ে জয়গাঁও এসে বর্ডার ক্রস করে ইন্ডিয়াতে চলে আসবেন। ইন্ডিয়া থেকে একটা জিপ ভাড়া করে চ্যাংড়াবান্ধা বর্ডারে চলে আসবেন। এখানে আসতে আসতে সন্ধ্যা লেগে যাবে। তারপর সেখানে ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে বাংলাবান্ধা আসবেন। বাংলাবান্ধা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে অনেক বাস ছেড়ে যায়। এগুলো মধ্যে যেকোনো একটাতে উঠে ঢাকা চলে আসবেন।। সকালের দিকে ঢাকা পৌছে যাবেন।
এখানে খরচের ব্যাপারটা একেক সময়ে একেক রকম। এবং খরচ নির্ভর করবে আপনারা কতজন একসাথে ভ্রমণ করছেন তার উপর। সাধারণত ৭-৮ জন গেলে ৪ দিন থাকতে খরচ হবে জনপ্রতি ১০-১২ হাজার টাকা।
ZARJIS
10-10-2023
No comments:
Post a Comment